Haseen Dillruba/হাসিন দিলরুবা

Haseen Dillruba/হাসিন দিলরুবা

Truth is stranger than fiction! সত্য, কল্পনা এবং পৃথিবীর অন্য সমস্ত কিছুর উপরে। একটা ভালোবাসার ক্ষেত্রে, আমরা কল্পনার ভালোবাসাগুলোকেই আইকনিক মেনে চলতে পছন্দ করি। ভাবি, ভালোবাসলেই পাওয়া হয়ে গেলো। অথচ সত্য কতো তিক্ত! একটু সুযোগ পেলেই ভালোবাসা পালিয়ে হয়ে যায় অন্যকারো। একটুখানি ভুলেই ভালোবাসা এক কাঁধ থেকে অন্য কাঁধে মাথা রেখে ফেলে! একটু দুরত্বেই চলে আসে থার্ড পার্সন! কতো সুন্দর করে একটা সুন্দর সম্পর্কে নষ্ট করে দেয় তিলে তিলে। ভালোবাসার এই ক্ষেত্রে সত্যতা যে কতোটা তিক্ত তার প্রমাণ পাওয়া যায়।

উপরের কথাগুলো বলার কারণ একটা মুভি। মুভিটার নাম হাসিন দিলরুবা। মুভিটার ব্যাপারে কিছু বলা যাক। অবশ্যই পজেটিভ অনেক কিছুই বিদ্যমান, তবে নেগেটিভ (আমাদের জীবনে যা বাস্তব) সেই সমস্ত দিকের উদাহরণ কতোটা দারুনভাবে সামনে তুলে ধরা হয়েছে, তা বলার বাইরে। স্টেপ বাই স্টেপ একটা দীর্ঘ আলোচনা করবো মুভিটা নিয়ে। প্রতিটা পয়েন্টই ব্যক্ত করার চেষ্টা থাকবে, এবং সবশেষে থাকবে মুভিটা কেমন লেগেছে সেই ব্যাপারটা।

প্রেমিক/প্রেমিকা কিংবা স্বামী/স্ত্রীর সম্পর্কঃ একটা পবিত্র সম্পর্ক হতে হলে সবার আগে ভালো বন্ধু হতে হয় একে অন্যের। তারপরে আসে ভালোবাসা, এরপরেই সেই সম্পর্কের একটা নাম। এরেঞ্জ ম্যারেজের ক্ষেত্রে বিষয়গুলো একটু দেরিতে হলেও, হয় অবশ্যই। যখন একটা মানুষের জীবনের চাহিদা অন্যটা থাকে এবং তার প্রাপ্য জিনিসটা হয় অন্য কিছু তখন মানুষ নিজের সাথে হাজারটা লড়াইয়ে বাঁচতে শুরু করে। তার কাছে প্রতিনিয়ত সম্পর্কটা বাজে ধরণের লাগতে শুরু করে। সে সম্পর্কটা থেকে ছুটে যেতে চায়, পারেনা। হারিয়ে যেতে চায়, পারেনা। এই সমস্ত ক্ষেত্রে দুটো জিনিস হতে পারে। এক, মরে যাওয়া। এবং দুই, অন্য কারো সাথে জড়িয়ে যাওয়া কিংবা থার্ড পার্সন। এরপরে তো আরও তিক্ততা। আরও কিছু নিষ্ঠুর সত্য। আরও একটা সম্পর্কের বিনষ্টতা। অথচ, আমরা সম্পর্ককে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করি সিনেমা দিয়ে। ভাবি, সিনেমার মতো ভালোবাসা পেলে কেমন হতো? ভাবি, সিনেমার মতো একটা মানুষ জীবনে হলে কি হতো? কিন্তু সব হারিয়ে জিতে যায় ট্রুথ!!!

সময়ঃ সময় জিনিসটা ঠিক কতোটা দামী? উত্তর, অনেকটা। তবে একটুখানি সময় না দেয়া কি ভালোবাসা বিনষ্টের কারণ হওয়ার জন্য যথেষ্ট? উত্তর হচ্ছে, ফিকশনের ভাষায় না। কিন্তু ট্রুথ এবং বাস্তবতার ভাষায় হ্যা। একটা সম্পর্ক সময় না দিলেই থেমে যেতে পারে! আমি নিজেও এই থিওরিতে বিশ্বাসী নই, আমি নিজে চাইওনা পৃথিবীর কোনো ভালোবাসা শুধুমাত্র এই সময়ের জন্য নষ্ট হোক। তবে আমার চাওয়ার যেহেতু পৃথিবী চলেনা, সেহেতু ট্রুথের মতো বাজে সত্যটাই আমাকে মেনে নিতে হবে। ভালোবাসার মতো একটা দামী জিনিস সময় না দিলেই থেমে যায়, এটাই মেনে নিতে হবে। অন্তত বর্তমান এই জমানায় এসে। অথচ, সেকালে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের প্রেমও টিকে যেতো। একটা চিঠি পড়ে পড়ে হাজার হাজার রাত কভার করে ফেললেও টিকে যেতো। কয়েক বছর পর একবার, জাস্ট একবার চোখের পলক দেখলেও টিকে যেতো। কতোটা পবিত্র ছিলো সম্পর্কগুলো। অথচ, আজ! একটুখানি সময় না দেয়াটাই নিয়ে আসতে পারে একটা নতুন মানুষ! আজকাল কেউ ভালোবাসার মানুষটাকে নিয়ে ইনসিকিউর ফিল করলেও আমরা সেটাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করি। ইনসিকিউর জিনিসটা হওয়া মানেই ভালোবাসা নেই সেখানে, বিশ্বাস নেই সেখানে বলে চিল্লাতে চিল্লাতে গলা ফাটাই! অথচ, এই সমস্ত লজিক সেকালের মতো সময়েই সবচেয়ে ভালো ছিলো! আমার মনে হয়, আজকের এই জমানায় দাঁড়িয়ে ইনসিকিউরিটি জিনিসটাকে জাস্টিফাই করাটাই বরং আমাদের ভুল। এই ইনসিকিউর জিনিসটা উল্টো আমার কাছে বর্তমানে একটা পবিত্র শব্দের মতো লাগে। কারণ, এই সময়ে এসে ভালোবাসাকে ছাড়া গরুর মতো ছেড়ে দিয়ে, তার প্রতি ইনসিকিউর না থাকলেই বরং আরেকটা মানুষ এসে দুজনের মাঝখানে জায়গা দখল করে নেবে! মুভিটার একটা ডায়ালোগ মনে পড়লো, “তুমি যদি ভাবিকে সঠিকভাবে সময় দিতে, তাহলে কি আমার সাথে এতোকিছু হতো?” ব্যাপারটা অদ্ভুত না? সময় না দেয়ার কারণে যদি কারো মন অন্যদিকে চলে যায়, সেই ভালোবাসার মতো ঠুনকো কিছু কি দুনিয়ায় আছে আর একটাও? এন্ড দেন এগেইন, আবারও এই সময়ের জন্যেও এসে যায় থার্ড পার্সন!

শারিরীক সুখ বা সেক্সঃ ভেরি সেনসিটিভ পার্ট বাট ইম্পরট্যান্ট! আজকাল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পেপার-পত্রিকা খুললেই কেবল দেখি পরকীয়া শব্দটা। আমার মনে পড়ে, আমার ছোটবেলাতে এই ওয়ার্ডটা এতো পপুলার ছিলোনা, এখন যতোটা পপুলার! অনেকেই বলবে, ছোট ছিলেন তখন হয়তো শোনেন নি! নারে ভাই! শুনিনি, ব্যাপারটা এমন না। কিছু জিনিস আছে যা ছড়ালে বহু কানেই ছড়িয়ে যায়। এরকম ব্যাপার সত্যিই কম ছিলো সে সময়ে। বা ছিলোইনা। যাই হোক, তবুও ধরে নিলাম আমিই শুনিনি। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে হিসেব করতে গেলেও এই পরকীয়া শব্দটা আগের সময়ে খুব রেয়ার ছিলো। কেনো? কারণ, সেই সময়ে একটা মেয়ের তার হাজবেন্ডের উপর যথেষ্ট সৎ লেভেলের ট্রাস্ট ছিলো, এখন যেটা নাই। সেই সময়ে হাজবেন্ডের সেক্স করার টাইম, কিংবা বউকে দেয়া স্যাটিসফিকশন কম হলেও এটা নিয়ে কোনো স্ত্রীরা গলাবাজি করতো না। আজকাল করে। এখন আবার শুনে বসতে পারি, মেয়েরা নিজেদের পর্যাপ্ত সেক্স না পেলে গলাবাজি করবেনা? ভাই, এটা গলাবাজি করার কোনো জিনিস না। দুইজনে মিলেমিশে সলভ করার জিনিস। আগের কালে এমন হলে, কোনো স্ত্রীই অন্য কারো প্রতি এট্রাকটেড হতোনা। আর এই সময়ে, হা-হুতাশ, গলাবাজি এবং খুব স্বল্প সময়ে অন্য সেক্স পার্টনার চুজ করার ব্যাপারটা তো আছেই। মেয়েদের ফিজিকাল ডিমান্ড আছে আমিও জানি এবং মানি, কিন্তু এই একটা জিনিস দিয়ে লয়ালিটি কিংবা ভালোবাসাকে জাস্টিফাই করাটাই ভুল। যারা পড়াশোনা করেছেন, জেনে থাকবেন, সেক্স বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষিকতার উপরে নির্ভর করে। নার্ভাসনেস এবং আদার্স কোনো প্রেসার থাকলে সেইক্ষেত্রে সেক্সের সময়ের হেরফের দেখা যেতে পারে। আগেরকালের মেয়েরা এগুলো বুঝতো। অথচ, আজকাল প্রেসারে থাকুক কিংবা নার্ভাসনেস, তাদের সেক্স সঠিক না হলেই পরেরদিন শোনা যাবে অন্য কারো প্রতি অলরেডি এট্রাকটেড।

সত্যিকারের ভালোবাসায় ইনসিকিউরিটি, সন্দেহ, অবিশ্বাস থাকেনা বলা মানুষগুলোই এক্ষেত্রেও ফিজিকাল ডিমান্ডের ব্যাপারটাতে সমর্থন করবেন। যে, হ্যা ঠিকই! একটা মেয়ের ফিজিকাল ডিমান্ড থাকতে পারে। আমিও ওটাই বলার চেষ্টা করছি, যে থাকতে অবশ্যই পারে। কেনো পারবেনা? সবার সবকিছুর অধিকার আছে। চাওয়ার এবং পাওয়ার অধিকার আছে। না পেলে বলার অধিকার আছে। তবে আমার সমস্যাটা কোথায় জানেন? এই সমস্ত ব্যাপারের ক্ষেত্রে যখন আপনারাটা ভালোবাসাটাকে মেলান!

আমাকে সাধারণ একটা জবাব দেন, ভালোবাসায় কিছুই থাকলে সেটা ভালোবাসা না মানলাম! তারমানে কি আপনার প্রেমিকা/প্রেমিক যদি কাল অন্য কারো সাথে ঘুরতে বের হয় সেটা আপনার জন্য পজেটিভ হবে? তথাকথিত ফ্রেন্ড বলে মেনে নেবেন? হ্যা নিতেও পারেন, মানে আপনিও যদি এই টাইপের হয়ে থাকেন আরকি!! আরো একটা জবাব দেন, যেই মেয়ে কিংবা যেই ছেলে শুধুমাত্র সেক্স দিয়ে একটা মানুষকে আইডেন্টিফাই করে সেই মেয়েটা বা ছেলেটা কি সত্যিই কাউকে ভালোবাসতে পারে? ভাই, ভালোবাসা আর ফিজিকাল ডিমান্ড এক জিনিস না। ফিজিকাল ডিমান্ড যেটা সেটা লাগবেই, এটার সাথে ভালোবাসা মেলাতে যাওয়াটাই গুরুতর ভুল বলে আমার মনে হয়। ফিজিকাল ডিমান্ড মানে শরীরের চাহিদা, ভালোবাসা মানে মনের চাহিদা। যে সত্যিকারের ভালোবাসে, বিশ্বাস করেন, তার কাছে ফিজিকাল কেনো, আপনি খাটো, লম্বা, ফর্সা, কালো, সুন্দর, অসুন্দর কিচ্ছু যাবে আসবেই না। সে আপনাকে জাস্ট আপনার জন্য ভালোবাসবে। আপনি যদি সেক্সের বেলায় কিছু নাও করতে পারেন, সে আপনাকে ভালোবাসা ছাড়বেনা। হ্যা, ফিজিকাল ডিমান্ডের জন্য সে নিজের সাথে যুদ্ধ করতেই পারে, কিন্তু তবুও সে আপনার প্রতি একদম ১০০% সৎ থাকবে। অন্তত, আপনার অগোচরে কারো সাথে ভুলেও ফিজিকাল সম্পর্কে এটাচড হবেনা। কারণ, তার কাছে ফিজিকাল ডিমান্ডের চাইতে আপনাকে ধোঁকা দেয়াটা সবচেয়ে বেশি যুদ্ধের এবং কষ্টের মনে হবে। সুতরাং, দয়া করে নেক্সট টাইম ফিজিকাল ডিমান্ডের সাথে ভালোবাসার কানেকশন খুঁজতে যাবেন না, রিকোয়েস্ট!!

ফ্ল্যাশব্যাকঃ খুবই বাজে একটা জিনিস! জীবনে থাকা মানুষটা লম্বা, ফর্সা বা একটু আপডেটেড কাউকে চাইতো! একটু ফিটিং ড্রেস-আপ করা ছেলে চাইতো! কিংবা ব্লা ব্লা। সমস্ত ক্ষেত্রেই সেটা চোখ বন্ধ করলেই সামনে চলে আসে। চোখ বন্ধ করলেই দেখা যায়, সেই মানুষটার চাহিদার মতো একটা মানুষ সামনে দাঁড়ানো। নিজেকে ছোট লাগতে থাকে, ভুল মনে হতে থাকে, কষ্ট লাগতে থাকে!!

জীবনে থাকা মানুষটা কোনো একটা ভুল করেছে? কারো সাথে জড়িয়েছে কিংবা ভালোবেসেছে? ভালোবাসা বলে ক্ষমা করে দেয়া? অথচ, ওই একটা ভুল বারবার চোখের সামনে ভেসে উঠবে। বারবার ক্ষমা করতে চেয়ে কিংবা করে দিয়েও চোখ অফ করলেই ওই মূহুর্তগুলোর সাক্ষি না হলেও তা চোখের সামনে ভাসবে! তার হাত কেউ ধরে থাকলে, ক্ষমা করে দেয়ার পরেও, তার হাত মাঝে মাঝে ধরতে গেলেই মনে হবে এই হাত অন্য কেউ ছুঁয়েছে! চোখ বন্ধ করলে চোখের সামনে ভেসে আসবে সেই দৃশ্য! বাজে লাগতে শুরু করবে, হাত থেকে হাতটা ছুটিয়ে নিতে ইচ্ছা করবে, ক্ষমা করে দেয়ার পরেও। ভালোবাসি তার পরেও!

মানুষটা আরও আর্ন্ডারস্ট্যান্ডিং কাউকে ডির্সার্ভ করে? চোখ বন্ধ করলেই দেখবেন, সে রেগে আছে আর তাকে সামলাচ্ছে কোনো সুন্দর একটা ছেলে। একদম একটা জেন্টলম্যানের মতো করে তাকে বোঝাচ্ছে, মোটিভেট করছে! যা আপনার জন্য মেনে নেয়াটা খুব একটা সহজ হবেনা! মানুষটা আরও রোমান্টিক কাউকে ডিসার্ভ করে? চোখ বন্ধ করলেই ফ্ল্যাশব্যাকে দেখবেন, একটা মানুষের সাথে তার রোমান্টিকতার কিছু মুহুর্ত, যেটাও আপনি মেনে নিতে পারবেন না। মানুষটা আরও হ্যাপি কাউকে ডিসার্ভ করে? যার লাইফে পেইন নেই! শুধু একমাত্র আপনার প্রিয় মানুষটাকে নিয়েই সে ভাববে? চোখ বন্ধ করলেই দেখবেন, চোখের সামনে একটা মানুষ, যার কাছে কেবল অগনিত সময় আপনার মানুষটাকে ভালো রাখার। আপনার মানুষটা কষ্ট পেলে তাকে আগলানোর। যার নিজের বলতে কোনো কষ্ট নেই। ভাবতেই কলিজাটা কেমন ছিঁড়ে আসে তাইনা?

মানুষটা আরও ব্রিলিয়ান্ট কাউকে ডিসার্ভ করে? বা চেয়েছিলো? আরও বড়লোক কাউকে ডিসার্ভ করে বা চেয়েছিলো? এই সমস্ত ক্ষেত্রেও ফ্ল্যাশব্যাক জিনিসটা বাজে আকারে কাজ করে। মানুষটার চাইতেও হয়না, নিজে থেকেই নিজেকে খুব ছোট লাগে। চোখ বন্ধ করলেই দেখা যায়, মানুষটা বড়লোক কোনো ফুটফুটে ছেলের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। সাদা এপোর্নের উপরে গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলানো কারো সাথে দাঁড়িয়ে আছে। গাড়ির সামনের সিটের বা দিকে বসে আছে একটা স্মার্ট মানুষের সাথে! ঢাবির কিংবা বুয়েটে সবচেয়ে আইকনিক এবং ডিমান্ডিং সাবজেক্টের ডিপার্টমেন্টের ক্লাস শেষে হাসতে হাসতে বের হচ্ছে নিজের মানুষটার সাথে, আরও কতো কি! এইযে যন্ত্রণাগুলো কতোটা যে বাজে! ফ্ল্যাশব্যাকে চোখে এলে নিজের বুক ধরে যাওয়া কিংবা নিজেকে খুব নিম্ন ভাবে যে ভাবনাটা আসে সেটা যে কতো বাজে, তা কেবল ওই মানুষগুলোই বুঝবে। তখন আর চোখ বন্ধ করতেও ইচ্ছে করেনা। নিজের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটার পাশে কেউই যেচে অন্য কাউকে বসাতে চাইবেনা, যদি না যে নিজেই নিজেকে খুব নিঁচু কেউ মনে করে। কারণ, নিজের মানুষটার পাশে অন্য কাউকে ফ্ল্যাশব্যাকে ভাবাটা কিংবা নিজেকে নিজের মানুষটার জন্য বেঠিক ভাবাটা দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি যে কষ্টগুলো আছে তার মধ্যে একটা!

হ্যা, ফ্ল্যাশব্যাক জিনিসটা আসলেও খুব বাজে। যেটা এই মুভিটাতে বেশ ভালোভাবে দেখানো হয়েছে। হ্যাটস অফ টু দ্যা মেকার্স, এই সত্যটাকে সামনে তুলে দেখানোর জন্য।

শেষ বক্তব্যঃ মুভিটা ভালো লেগেছে। মুভিটা দেখার পর প্রতিটা সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষগুলো, তাদের ভালোবাসার মানুষগুলোকে নিয়ে এক্সট্রা ইনসিকিউর থাকবে। সময় দিতে না পারলেই কষ্টে ভুগবে। হারিয়ে ফেলার ভয়ে ভুগবে। এবং কষ্ট পেতে থাকবে। নিজের স্বপ্ন পূরণ কিংবা অন্যান্য ক্ষেত্রেও সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে ব্যাপারটা। কারণ, ব্যাপারটা আসলেও সিরিয়াস এবং গুরুতর। ব্যাপারটা আসলেও সত্যি এই সময়ে। একটু সময় বা কোনো একটা ডিমান্ড ফুলফিল না হলেই যে, মানুষ অন্যকোনো দিকে পা বাড়ায় এটা ১০০% সত্য। এই ভয়ে ভুগতে থাকবে সবাই প্রতিনিয়ত। কেউ সজ্ঞানে নিজের মানুষটাকে একা করে রাখতেও ভয় পাবে। কারণ, বর্তমান সময়ে এসে থার্ড পার্সন জীবনে আসাটা খুবই সহজ। জাস্ট ঠুনকো একটু ভুল, এন্ড ইটস ডান!! ফর এভার!!! চাইনা কোনো সম্পর্কে এমন হোক। সব সম্পর্ক অনেকদিন টিকে থাকুক। এবং আজকালকার মানুষগুলো সবকিছুর সাথে সম্পর্কগুলোকে না মেলাক। শরীর এবং মানষিক ব্যাপারটাকে আলাদা করতে শিখুক। এই মুভিটার জন্য ব্যক্তিগত রেটিংঃ ১০/১০

শেয়ার করুনFacebookTwitterWhatsApp
লিখেছেন
সিয়াম মেহরাফ
আলোচনায় যোগ দিন

সিয়াম মেহরাফ

সিয়াম মেহরাফ

সিয়াম মেহরাফ একজন লেখক এবং গল্পকথক। তার বর্তমান মৌলিক বইয়ের সংখ্যা দুইটি। লেখালিখির পাশাপাশি অভিনয়ও তার আরেকটি প্যাশন।

নোটঃ

এই ওয়েবসাইটটির সকল ছবি, লেখা এবং ভিডিও সিয়াম মেহরাফ দ্বারা সংরক্ষিত। ওয়েবসাইটটির কোনো তথ্য ক্রেডিট কিংবা কার্টেসি ছাড়া কপি না করার অনুরোধ রইলো।

error: