“বিশ্বাস করো আর না করো, আমি বড্ড কষ্টে আছি আর থাকবোও।” বললো মেয়েটা।
“কষ্টে কেনো আছেন, আর থাকবেনই বা কেনো?” এপাশের মানুষটা প্রচন্ড দীর্ঘশ্বাস বুকে চেপে রেখে প্রশ্নটা করে ফেললো।
“কষ্ট রাখার যে আর কোনো জায়গা নেই।”
“আমার মতো ছেলে যাদের জীবন থেকে চলে যায়, তাদের তো অনেক সুখে থাকার কথা।” নিজের উপর প্রচন্ড ক্ষোভ নিয়ে কথাটা বললো ছেলেটা।
“তোমাকে হারিয়েছি, জীবনের সব সুখ-ভালোবাসাও হারিয়েছি।” একটু থামলো মেয়েটা। “তোমার মতো করে আমাকে আর কে ভালোবাসবে বলো? কেউ না! কেউ বুঝবেও না, কেউ হাসাবেও না! ভালোবাসা তো দূরের কথা। আর আমিও তো তোমাকে অনেক ভালোবাসি।” না থেমেই কথাগুলো বলে গেলো মেয়েটা।
“আমি কারো জীবনে সুখের না। সবার বিরক্তির কারণ। আমি কাউকে ভালোবাসতেই পারিনি, সবাই আমাকে ঘৃণাই করে। কাউকে খুব করে চাইলেও পার্মানেন্টলি পাই না আমি। আর আমি বুঝি না কাউকে, হাসাতে পারিনা কাউকে, ভালোবাসতেও পারিনা কাউকে। আর এই কারণেই তো মানুষ দূরে সরে যায়।” দীর্ঘশ্বাস নিলো ছেলেটা।
“এইজন্য না।”
“মানে?”
“মানে তুমি যা বললে, সেসব কারণে দূরে সরে যায়না কেউ তোমার থেকে।”
“তাহলে?”
“তোমাকে পেতে তো কপাল লাগে।”
হারিয়ে ফেলা নিজের জীবনের একটা মানুষের থেকে শেষ কথাটা শোনার পরে নিস্তব্ধ হয়ে যায় ছেলেটা। চুপচাপ বসে থাকে। একদম শব্দহীন হয়ে। কয়েকবার চোখ বুলিয়ে নেয় ওই লাইনগুলোর দিকে। কিছুক্ষন পরে নিজের অজান্তেই একটা মুচকি হাসি দেয় সে। এই হাসির ব্যাখাটা জানেনা কেউ! জানবেওনা কেউ!