জীবনের চাহিদা কি সব মানুষদের আসলেও খুব বেশি থাকে? আমাদের মধ্যে কি এমন কেউ নেই, যারা সাধারণ ভাবে বাঁচতে চায়? যারা একদম সাধারণ স্বপ্ন দেখে? আছে হয়তো! কিন্তু এই কম্পিটিশনের যুগে যেসব মানুষেরা একদম সাধারণ স্বপ্ন বুকে বয়ে চলে তাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারগুলো কেমন হয়? তারাও কি বাকি সবার মতো করে অন্য স্বপ্নগুলোকে নিজের মতো করে বাঁচতে শুরু করে? অন্য সবার মতো ভেবে ভেবে নিজেকেও সেই কম্পিটিশনের আওতায় নিয়ে আসে? জানা নেই কারোই!
তবে এতোদিন খুব সাধারণ স্বপ্ন দেখতে থাকা মানুষগুলোও আজকাল অনেক উচ্চাকাঙ্খী হয়ে যায়। অনেক আশা তাদের ভেতরে পোষন করে এগিয়ে যায়। যেটা অবশ্যই কোনোদিক থেকে খারাপ কিছুই নয়, কিন্তু এইযে এতোটা যুদ্ধের মতো চলতে থাকা এই যুগের তালে তাল মেলাতে গিয়ে মানুষগুলো নিজেদের আমিত্বটাকে হারিয়ে ফেলে? সেই আমিত্বটা কি তারা আর কখনো ফিরে পেতে পারবে? বা আদৌ সম্ভব? হয়তো না।
তবুও আমরা এগিয়ে যাই। মানুষকে দেখে হুট করেই আমাদের স্বপ্নের লিমিট বাড়িয়ে দেই। কম্পিটিশনে পড়ে নিজেদেরকে জড়াই নতুন কোনো জগতের মাঝে, যেটা কোনোদিনই আমাদের জগত ছিলো না। যেই জগতে আমাদের কম্পিটিশন করার কথা ছিলোনা, যেখানে আমাদের থাকাটাই একটা অসংগতি। তাও আমরা জড়াই। অন্যের স্বপ্নকে দেখে নিজেদের লিমিট বাড়িয়ে, নিজেদের স্বপ্নটাকে দুমড়ে মুচড়ে দেই। দিনশেষে, যেই স্বপ্নটা আমাদের না সেই স্বপ্নে হেরে যাওয়ার ব্যর্থতা নিজেরাই ঘাড়ে বহন করে নেই। অথচ, আমাদের সেই পুরোনো স্বপ্নকে বহন করে চলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ট্রফিটা আমাদের ঘাড়ে বহন করে হাসিমুখে এগিয়ে যাওয়াটা ছিলো আমাদের আসল কাজ!