বিশের পরেই যারা মরে!

বিশের পরেই যারা মরে!

জীবন্ত মানুষদের অনেক স্বপ্ন থাকে। সরু পথ হুট করে কোথাও থেমে গেলেও, সেখান থেকে পথ খুঁজে নেয়ার মতো অবস্থা থাকে। অথচ জীবিত থেকেও মৃত থাকা মানুষগুলো কখনো সেই সরু পথটা শেষ হয়ে গেলে আর অন্য কোনো পথ দেখতে পায়না। তাদের কাছে ওটাই শেষ পথ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এরপরে তাদের মনে হয়, এই পথের শেষের পরেই অপেক্ষা করছে তাদের জন্য মৃত্যু। শরীরের মৃত্যু না হলেও, এদের মানষিক মৃত্যু হয়ে যায় সাথে সাথেই। এরপরে বাকি যে ৩০/৪০ টা বছর থাকে, এরা বাঁচে অন্যের হয়ে। অন্যের শরীরে বাঁচার মতো করে, অন্যের স্বপ্ন পূরণের ঘাঁটি হিসেবে।

জীবিত থেকেও মৃত্যু থাকা মানুষের সংখ্যাই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি। ইদানিং বহু লেখা দেখা যায়, যে মানুষের জীবনের আসলে যে ৫০/৬০ বছর মানুষ বাঁচে, সেই বাঁচাটা কি আসলেও বাঁচা? বা সেই পুরো ৫০/৬০ বছর কি মানুষগুলো বেঁচে থাকে? আসলে এর উত্তর না! অনেকেই বাঁচে না। এই বাঁচাটা আসলেও হয় অন্যের জন্য, অন্যের হয়ে, অন্যের স্বপ্ন পূরণের মাধ্যম হয়ে। এখান থেকে আমাদের আর ফিরে আসা হয়না, ছুটে আসা হয়না নিজেদের একান্ত স্বপ্নের কাছে। উড়ে গিয়ে বসা হয়না, নিজের স্বপ্ন পূরণের কাজে। কারণ, এই যে ২৫ এই যাদের মৃত্যু হয় তাদের অধিকাংশই মানুষের ভালোবাসার দাম দিতে চায়। সেই দাম দিতে গিয়ে নিজের স্বপ্ন, বাঁচাটা গোল্লায় গেলেও আসলে কিছু না। প্রিয় মানুষের মুখে হাসিটা দেখার জন্য, নিজের ব্যর্থতাকে ভুলে গিয়ে অন্যের হয়ে বাঁচে।

জীবন কতোটা অদ্ভুত না? কতো সত্যি এই জীবনে নিজের ভেতরেই চুপশে থাকে। মৃত হয়েও শরীরটা বেঁচে থাকার যে বাস্তবতা, সেই বাস্তবতার দরজাটা পেরিয়ে বেরিয়ে আসাটা আর হয়না চুপিসারে কিংবা জোর চিৎকারে। থেমে যায় সব অল্প অল্প করে। ওইদিকে, মরে গিয়েও নিজেদের মানুষদেরকে ভালো রাখতে তাদের স্বপ্ন পুরণ করিয়ে দেয়ার কতো দৃঢ় প্রত্যয় আমাদের‌!

শেয়ার করুনFacebookTwitterWhatsApp
লিখেছেন
সিয়াম মেহরাফ
আলোচনায় যোগ দিন

সিয়াম মেহরাফ

সিয়াম মেহরাফ

সিয়াম মেহরাফ একজন লেখক এবং গল্পকথক। তার বর্তমান মৌলিক বইয়ের সংখ্যা দুইটি। লেখালিখির পাশাপাশি অভিনয়ও তার আরেকটি প্যাশন।

নোটঃ

এই ওয়েবসাইটটির সকল ছবি, লেখা এবং ভিডিও সিয়াম মেহরাফ দ্বারা সংরক্ষিত। ওয়েবসাইটটির কোনো তথ্য ক্রেডিট কিংবা কার্টেসি ছাড়া কপি না করার অনুরোধ রইলো।

error: