থৃলার গল্প সংকলন ৪

থৃলার গল্প সংকলন ৪

• নিত্য ওথেলো – মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

রামোনা এবং জোজো। তাদের সংসার জীবন বেশ ভালোই যাচ্ছে। কিছু আফসোস যদিও আছে, কিন্তু সেই আফসোসের কারণগুলো যে তাদের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এমনটাও নয়। সুন্দরভাবে চলতে থাকা এই জীবনটা হুট করেই মোড় নেয় অন্যদিকে। জোজো ভাবতেও পারেনি তার জীবনটা এমন হয়ে যাবে কিছুক্ষনের মধ্যেই। সবকিছু বিবেচনার পর, সে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে একটা। বহুবার তার অন্তর্গত মন তাকে বাধা দিলেও সেই বাধা মানতে রাজী নয় সে। তার সিদ্ধান্তের পথেই এগোতে থাকে সে। কিন্তু গল্পের মোড়টা একবার ঘুরে যায় অন্যদিকে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে সে। ভাগ্যিস গল্পটা মোড় নিয়েছিলো অন্যদিকে! নয়ত জীবন তছনছ হয়ে যেতো তার। কিন্তু ওই মোড়েই কি গল্পটা শেষ? নাহ! আবার শুরু হয়ে যায় অন্য এক প্যাঁচ। জোজো নিজেও জানেনা, এর শেষটা কি হতে যাচ্ছে! দু’টো টুইষ্টে চলতে থাকা লেখাটা আপনার মনোযোগ ধরে রাখতে বাধ্য।

• ছায়াময় – শরীফুল হাসান

উদ্ভট একজন লোক। যে একা থাকতে ভীষণ পছন্দ করে। কলিগদেরকে বন্ধু বলে বিবেচনা করা যায়না! স্কুলের বন্ধুরাও সবাই দূরে দূরে। সুতরাং, তাকে বন্ধুহীনই বলা যায়। নিজের সঙ্গটা সে উপভোগ করে। একদমই যে একা এমনটা নয়। কারণ, তার সাথে আছে কেউ একজন! কে সে? একা থাকতে চাওয়া মানুষটার সাথে এমন কে আর থাকবে? সে কি করে? তার কি কাজ? গল্পের শেষটা মোড় নিতে থাকে অন্যদিকে। ঢেকে যেতে থাকে একটার পর একটা রহস্যে। উত্তরগুলো হয়তো পাওয়া সম্ভবও হতে পারে, হয়তো না!

• লুকাশনি – তানজীম রহমান

বাবা মেয়ের সুন্দর একটা ক্যামেস্ট্রি বলা যায়। গল্পের চরিত্র ছোট্ট মিনি, তার বাবা এবং আরও কয়েকজন মিলে মাঝে মাঝেই বিভিন্ন রকমের খেলাধুলায় মেতে থাকে। ঠিক এরকমই কোনো একটা দিনে জীবনটা পরিবর্তন হয়ে যায় অনেকের। কিন্তু কেনো?

• রক্ত-লাল – জাহিদ হোসেন

ঘটনাটি উদ্ভট কিসিমের একটা লোককে নিয়ে। যে প্রায়শই বলে দিতে পারতো কি ঘটতে যাচ্ছে। বাইরের সবাই জানলেও, তাকে আশ্রয় দেয়া ঘরে থাকা মানুষটার জানতে দেরি হয়ে যায় এবং ফলাফলটা একটু অন্যরকমেরই হয়ে যায়। অতিপ্রাকৃত বলা যায় কিনা গল্পটাকে সঠিক জানিনা, তবে হাসি-কান্না, বর্ণনা সব মিলিয়ে দারুন গল্প।

• বানিয়াচং – রবিন জামান খান

জায়গার ব্যাখায় লেখক বরাবরই সেরা। যা ভালো লাগতে বাধ্য। ডকুমেন্টারি করতে যাওয়া একটা দল কোনো এক তথ্যে তাজ্জব বনে, আগ্রহী হয় সেটাকে সমাধান করতে। অপরিবর্তনীয় কিছু একটা নিয়ে ঘেরা এই গল্পটার বর্ণনা সুন্দর। তবে শেষটাতে আরও কিছু আশা করেছি আমি। একটা পিপাসা রয়ে গিয়েছে। কি হল, জানার! আমার মনে হয়, সবারই সেই জানার পিপাসা এবং আগ্রহটা থাকবে গল্পটা শেষ করবার পরে।

• জঙ্গলের চিত্রনাট্য – সুস্ময় সুমন

একটা সুন্দর ভালোবাসার গল্প। ভ্রমণেরও স্বাদ পাওয়া যাবে গল্পটাতে। কিন্তু সেই ভ্রমণেই কোনো এক ঝামেলায় ফেঁসে যায় সেই দম্পতি। তবে সেই বাধা আর ঝামেলা উতরে উঠতে পারবে কিনা, এটার চাইতেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ শেষের টুইস্টটা। শেষে এসে মনে হবে, এতোক্ষন যা ভেবে এসেছেন সব চোখের পলকে ভুল হয়ে যাচ্ছে। অসাধারণ লেগেছে আমার, বিশেষ করে বর্ণনা সমূহ।

• নিশিখেকো রহস্য – তানিয়া সুলতানা

একটা মেয়েকে ঘিরে চলতে থাকা গল্পটা অতিপ্রাকৃত ধারার। নতুন বিয়ে করা এক দম্পতির ভালোবাসাময় কথোপকথন পাওয়া যায় এখানে। কিন্তু গল্পের নামের মতোই কোনো একটা রহস্য থেকেই যায়। নতুন একটা জায়গায় থাকা, এবং সেখানের তথাকথিত কোনো এক গল্পের রহস্যেরই ব্যাখা রয়েছে গল্পটায়। কোনো এক চরিত্র ফেঁসে যায় সেখানে। সবকিছু জানার পরেও, প্রকৃতির টানেই হয়তো সব বাধা অতিক্রম করে চলে যায় সে। কিন্তু সে কি আর পেরিয়ে আসতে পারবে সেই বাধা? নাকি আটকে যাবে মায়াজালে!?

• দ্য ক্যাট ফ্রম হেল – স্টিফেন কিং
অনুবাদঃ শান্তা রিকি

নাম শুনেই বুঝা যায় গল্পটা কি নিয়ে। একটা বিড়াল! হ্যা, ঠিক তাই। কিন্তু বিড়ালটিকে অভিশপ্ত বলার কারণটা কি? সেটা গল্প পড়লেই জানা যাবে। তবে শুরুটা এমন, কাউকে ভাড়া করা হচ্ছে একটা বিড়ালকে মারার জন্য। বিড়ালের সব গল্প শুনে সে রাজী হয় এবং বেরিয়ে পরে তার কাজের উদ্দেশ্যে। বিড়ালটাকে মারতে হবে! স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছিলো সবকিছু সে। তবে শেষমেষ? বিড়ালটাকে কি মারা সম্ভব হবে? দারুন গল্প এবং ভীষণ ভালো অনুবাদ। লেখিকার পড়া এটা আমার প্রথম অনুবাদ। সামনে আরও পড়বো অবশ্যই!

• নেহাই – জাবেদ রাসিন

পুরো গল্প সম্পর্কে যেহেতু ধারণা নেই, সুতরাং শুরুটা দিয়েই জাজ করে ফেলবেন না। পড়তে একটু উদ্ভট লাগতে পারে, কেনো বললাম কারণটা পড়লেই বুঝবেন। তবে শেষের অপেক্ষা না করলে অনেক কিছু মিস করতে পারেন। শুরুটা ঠিক এরকম, পত্রিকা কোনো এক লেখিকার একটা লেখা পড়ে তার কথাই সারাদিন ভাবতে থাকে গল্পের মূল চরিত্র। অনেক খুঁজে খুঁজে বের করে তার বই, এরপরে ঠিকানা। কথোপকথন হয় তাদের মাঝে, তবে আপনি যেভাবে ভেবেছেন শুরু থেকে গল্পটা ঠিক তেমনভাবে শেষ হবেনা, যা যা কথোপকথন আশা করবেন তার কিছুই হবেনা। ৩৬০ ডিগ্রি এঙ্গেলে ঘুরে গিয়ে শেষের টুইষ্টটা আপনাকে ভালো লাগাতে বাধ্য।

• ত্রিনয়ন – তাকরীম ফুয়াদ

নামটাতেই ব্যাখা আছে অনেক। তবে সেই ব্যাখাটা খুঁজতে অপেক্ষা করতে হবে গল্পের শেষের। উদ্ভট কিসিমের একটা লোকের সাথে সাক্ষাত হয় গল্পের মূল চরিত্রের। মোটরবাইকের প্রতি প্রবল আকর্ষন থাকায় ওই সাক্ষাত হওয়া লোকটার কাছ থেকে শিখে নিতে চায় বাইক চালানো। এরপরে একটা দূর্ঘটনা। কিন্তু এসবের মাঝে ত্রিনয়ন কোথায়? পড়ে নিন গল্পটা, জেনে যাবেন অতীতের কোনো এক স্মৃতিঘেরা তথ্যের সাথে ত্রিনয়ন আর বর্তমানের সম্পর্ক!

• থ্রি টেন টু ইউমা – লিওনার্ড এলমোর
অনুবাদঃ রবিন জামান খান

দারুন অ্যাকশনে ভরপুর এই গল্পটা। বর্ণনা, অনুবাদ বেশ ভালো লেগেছে। একশনগুলো আমি চোখের সামনে দেখতে পেয়েছি যেনো। দুই চরিত্রের মুখোমুখি কথোপকথন চলতে থাকা এই গল্পটায় ধরে রাখা হয় এক চরিত্রকে। তাকে পাঠাতে হবে অন্য কোথাও। কিভাবে পাঠানো হবে কিংবা এতো লোকবল সমৃদ্ধ মানুষটাকে আদৌতেও সম্ভব হবে কিনা গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া তাই নিয়েই এই গল্প। আর হ্যা, শুরুতে তো বলেইছিলাম দারুন অ্যাকশন তো আছেই।

• মানিক – নিয়াজ মেহেদী

উদ্ভট একটা চরিত্রকে ঘিরে থাকা এই গল্প। চরিত্রের নাম ‘মানিক’। অংকে ফেল করতে থাকা এই চরিত্রের সবচেয়ে বড় শত্রু আসমত স্যার, এবং বন্ধু মৌমাছি। মৌমাছির সাথে তার সম্পর্ক কি, তা সঠিক জানা নেই। এক পর্যায়ে গ্রামে রটে যায় তাকে কিছু একটা পেয়ে বসেছে। সে যাই হোক, রৌদ্রময় একটা দিন থেকে হঠাৎ মেঘাচ্ছন্ন আকাশের আগমনে শেষ হয় গল্প। ভালো লেগেছে, তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় গল্পটিতে “আসমতস্যার” শব্দটাকে, “আসমত স্যার” এভাবে লিখলে বেশি সুন্দর লাগতো চোখে এবং পড়তেও।

• একেই বলে শুটিং – নাবিল মুহতাসিম

প্রাইভেট মেডিকেল এবং সেখানের কিছু তথাকথিত বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। একটু দূর থেকে আসা কাউকে অস্বাভাবিক চোখে দেখে ভার্সিটির প্রায় সবাই-ই, এমনকি শিক্ষকরাও। এই গল্পটাকেই একটু নাটকীয়তা এবং সাসপেন্সের সাথে তুলে ধরা হয়েছে। শুরু থেকেই যাকে মনে হতে থাকবে গল্পটা তার কষ্টটুকু নিয়েই, তবে শেষে দেখা যাবে আসলে সবকিছুই অন্যরকম। ঠিক গল্পের নামের মতোই, ‘একেই বলে শুটিং’

• উই থ্রি – ডিন কুনজ
অনুবাদঃ নজরুল ইসলাম

নতুন একটা পৃথিবীর সূচনা হতে যাচ্ছে। তাদের হাত ধরে, যাদের কিছু আলাদা ক্ষমতা রয়েছে। সূচনা বাস্তবায়িত হওয়ার পরে আগত কাউকে নিয়ে শঙ্কা দেখা যায় গল্পের চরিত্রগুলোর মাঝে। কিভাবে শুরু হবে সেই নতুন পৃথিবী? ওরাই বা কেনো করবে সেই সূচনা? আর আগত কিসের বিপদ তাদের? সবকিছুর উত্তর সমৃদ্ধ এই গল্পটা যেমন দারুন, তেমন দারুন অনুবাদও।

• সত্তা – সালমান হক

আমাদের জীবনের আশেপাশের স্বাভাবিক একটা গল্পকেই চরিত্র আকারে তুলে দেয়া হয়েছে আমাদের সামনে। অবৈধ সম্পর্ক এবং তার ফল। তবে আগের লাইনটি শুনে এটা ভেবে বসবেন না, যে গল্পটি ওইসব ব্যাখায় ঘেরা। মূলত, গল্পটি সেই ফলাফলকেই ইঙ্গিত করে। যেভাবে আমরা মাথা ব্যাথাকে সারাতে চাই, যেভাবে চাই আমাদের জীবনের অপ্রয়োজনীয় কেউ সরে যাক, সেভাবে কি একটা সত্তাকেও আমরা সরিয়ে দিতে চাইবো? স্বাভাবিক গল্পের, অসাধারণ উপস্থাপন।

• আমরা – সজল চৌধুরি

মরে যাওয়া কাউকে জীবিত দেখতে চাওয়ার পাগলামীটা বেশি ভালোবাসার মানুষগুলোর ক্ষেত্রেই হয়। এই গল্পের শুরুটা তেমনই। তবে সেই পাগলামীর একটা ভিত্তি আছে। গল্পের মূল চরিত্রের রিসার্চ অনুযায়ী মৃত প্রানীকেও বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব! ভিন্ন মাত্রা, পর্দার্থের ব্যাখা এবং অনেক তথ্য মিলিয়ে চলতে থাকা গল্পটায় মূল চরিত্রের ভিন্ন মাত্রার প্রমাণ পাওয়া যায়। ভিন্ন মাত্রার কারো সাথে সে যুক্ত কিনা, থাকলেও কিভাবে? অনেক প্রশ্নেরই উত্তর মিলবে এই গল্পে। তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, গল্পটাকে এতোই বাস্তবিক মনে হবে যেনো সবকিছুই খুব সত্য। প্রতিটি চরিত্রই সত্য, বাস্তবিক!

• নাইট সার্ফ – স্টিফেন কিং
অনুবাদঃ নাবিল মুহতাসিম

মহামারী, কিছুটা ভালোবাসাময় কথোপকথন সমৃদ্ধ এই গল্পটার অনুবাদ দারুন। সমুদ্রের পাড়ের সুন্দর বর্ণনা, কথোপকথন সব মিলিয়ে ভালোই। বেশি কিছু বলার নেই। তবে বর্তমান কিছু চিত্রের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যাবে।

• বুমেরাং – বাপ্পি খান

সাইবার ক্রাইম, সাইবার নিরাপত্তা এসব সমৃদ্ধ এই গল্পটি। কয়েকজনের উদ্দ্যোগ কিভাবে ভার্চুয়াল ভিত্তিক সমস্যা থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করে যাচ্ছে সেটাই আছে এই গল্পে। তবে সব ঘটনারই পেছনে কোনো রহস্য থাকে, থাকে ভালো কাজে বাধা। আবার, মাঝে মাঝে দেখা যায় কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে আসে সাপ। সবকিছুর মিশ্রন আছে এই গল্পে। জটপাকানো সব কথাগুলোর উত্তর পাওয়া যাবে বুমেরাং গল্পে।

• দ্য এগ – অ্যান্ডি ওয়ের
অনুবাদঃ লুৎফুল কায়সার

মৃত্যুর পরে কারো সাথে কথা বলতে দেখা যায় চরিত্রকে। কিছু ধারণা পাল্টে দিতে পারে আপনার, সত্যি না হলেও মনে হতে পারে সত্যিই সবকিছু। মনে হতে পারে সবই আপনি! উদ্ভট শোনাচ্ছে কথাগুলো? উত্তর খুঁজে নিতে পারেন এই ছোট্ট গল্পটাতে।

• উদ্দেশ্য – তানজিরুল ইসলাম

গল্প নাকি বাস্তব? কল্পনা নাকি সত্যি? প্রথমে স্ত্রী, তারপরে সন্তান। তারপরে যা নিয়ে ব্যস্ত থেকে সমাধান করে ফেলার পথে, তখন ঘটে আরেক বিপত্তি। গল্পের ভেতরে একটা গল্পের মতো। মনে হয়, কেউ লিখছে কিংবা বাস্তবেই হচ্ছে। কেউ চাচ্ছে সমাপ্তি, অথবা প্রকৃতির চাহিদাতেই হয়ে যাচ্ছে সমাপ্তি। বেশি বলে ফেললে, গল্প পড়তে আর ভালো লাগবেনা। তবে প্রশ্নগুলোর উত্তর অবশ্যই পাওয়া যাবে।

• টু সার্ভ ম্যান – ড্যামন নাইট
অনুবাদঃ আশিকুর রহমান খান

কানামিতি! এটা আবার কি? ভিনগ্রহের কিছু নাকি আমাদের পৃথিবীরই। তারা বলে যাচ্ছে, তারা ভালো চাচ্ছে আমাদের। আমাদের সুখ, স্বাভাবিক জীবন দেয়াটাই তাদের উদ্দেশ্য। যখন কেউ আর কষ্টে থাকবেনা তখন তাদের উদ্দেশ্য স্বার্থক হবে। তবে মূল রহস্যটা কি? কেউ কেনো কোনো বিনিময় ছাড়া আমাদের ভালো চাইবে? কারা এরা? কি এদের আসল উদ্দেশ্য? নাকি পুরোটাই অন্যকিছু! স্বাভাবিক কিছু!? উত্তর আছে গল্পে।

• প্রহেলিকা – বাপ্পী খান

লেখক বর্ণনায় পারদর্শী। কথোপকথনের মাঝখানেও আপনার চোখের সামনে তুলে ধরবে পুরো গল্পটা। মনে হবে, আপনার সাথেই হচ্ছে বা সামনেই হচ্ছে। গল্পটা একজন আর্টিস্টকে নিয়ে। যিনি আঁকায় পারদর্শী। তবে তার সেই পারফেকশনের পেছনে আছে মডেলদের পরিশ্রম এবং কষ্ট। বাস্তবিক ভাব না এলে তিনি আঁকায় পারফেকশন আনতে পারেন না। এমন একটা বাস্তবিক ছবি দেখার পরে দুইজনের মনের প্রশ্নের উত্তরগুলো দিয়ে দেন একজন। সেই আর্টিস্টের গল্প! বিভৎসতা, হিংস্রতার গল্প। কিন্তু এখানেই শেষ নয়! আরও বাকি, আর একটু টুইস্ট!

• হোটেল অ্যাট দ্য এন্ড অফ দি রোড – স্টিফেন কিং
অনুবাদঃ সালমান হক

পুলিশের তাড়া খেয়ে এক হোটেলে আশ্রয় নেয় দুজন। পুলিশেরা যখন আর তাড়া করতে করতে খুঁজে পায়না, তখন তাদের মনে প্রশ্ন জাগে এমন একটা জায়গায় কেনো এই হোটেল! একটা রুমে ঢুকে একদম নিশ্চিন্ত সেই তাড়া খেয়ে আসা দুজন। কিছুদিন থাকলেই সব ঠিক। কিন্তু, হুট করেই দেখা যায় অসংগতি! কি সেটা?

• আই গট টু গেট অ্যাওয়ে – স্টিফেন কিং
অনুবাদঃ সালমান হক

কেউ একজন পালাতে চায়! সবকিছু ছেড়ে, সবকিছু পেরিয়ে। কোনো এক জায়গায় আটকে আছে সে। কে আটকে রেখেছে তাকে? কেনো রেখেছে? পালাতে চায় কেনো সে? আর কে এই ‘কেউ?’

• অন্য ভুবন – শরীফুল হাসান

লেখকের বর্ণনা এবং চরিত্রের উপস্থাপন অসাধারণ। সাম্ভালা পড়ার পর থেকেই তার লেখার প্রতি টান আমার। বৃষ্টি, আর কথোপকথন। সব মিলিয়ে চমৎকার সাজানো হয়েছে গল্পটা। বিয়ে নিয়ে দু’জনের কথোপকথনের মাঝে উঠে আসে অন্য কোনো এক গল্প! যা বহু আগের। যার সমাধান করা সম্ভব হয়নি। সেই সমাধানের দরজা খুঁজতে খুঁজতে হারিয়ে যায় সবকিছু! বদলে যায় দুটো মানুষের জীবন! কিভাবে আর কেনো? আমার প্রিয় লেখার একটি হয়ে থাকবে এই গল্পটা।

• শেষ থার্টিফাস্ট – মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

কেমন হয় যদি কাউকে মারতে পারলেই বেঁচে থাকা যায় নিজের স্বাভাবিক সময়ের আরও বেশি? কেমন হয় যদি অমরত্ব হয় সত্যি? পৃথিবীর নতুন সহস্র শতাব্দীতে পা রাখতে যাওয়া এই সময়টা বদলে দেয় অনেকের জীবন! মূল চরিত্রকে মারতে হবে আর একজনকে! তবেই বেড়ে যাবে তার বাঁচার সময়! টার্গেট খুঁজতে গিয়ে সে মুখোমুখি হয়, অন্য সত্যের। আস্তে আস্তে সবকিছুর মুখোশ, রহস্য এবং পেছনের গল্পগুলো বুঝে উঠতে পেরে যায় সে। নতুন পৃথিবীর সময় শুরু হয়ে গিয়েছে, পরিষ্কার হয়েছে ব্রেইন ওয়াশড হয়ে যাওয়া মস্তিষ্কটাও। কিন্তু…

• সখেদ – মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

কবরস্থানের দারুন বর্ণনায় গড়ে উঠা এই গল্পটায়, উল্লেখ আছে একটা উদ্ভট নেশার। কিন্তু কি সেটা? রাতের আড়ালে গোরস্থানের আশেপাশে কেনোই বা থাকে কেউ? নতুন কোনো কবর কেনো হয় তার উদ্দেশ্য? তার দৈনন্দিন নেশা কাটাতে গিয়ে সে জরিয়ে যায় অজানা কোনো এক বেড়াজালে! পারবে কাটিয়ে উঠতে? নাকি আটকে যাবে সেই বেড়াজালের চক্রে?

বইঃ থৃলার গল্প সংকলন ৪
সম্পাদনায়ঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
প্রকাশকালঃ মে ২০১৭
মুদ্রিত মূল্যঃ ৩২০ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৩৫২

শেয়ার করুনFacebookTwitterWhatsApp
লিখেছেন
সিয়াম মেহরাফ
আলোচনায় যোগ দিন

সিয়াম মেহরাফ

সিয়াম মেহরাফ

সিয়াম মেহরাফ একজন লেখক এবং গল্পকথক। তার বর্তমান মৌলিক বইয়ের সংখ্যা দুইটি। লেখালিখির পাশাপাশি অভিনয়ও তার আরেকটি প্যাশন।

নোটঃ

এই ওয়েবসাইটটির সকল ছবি, লেখা এবং ভিডিও সিয়াম মেহরাফ দ্বারা সংরক্ষিত। ওয়েবসাইটটির কোনো তথ্য ক্রেডিট কিংবা কার্টেসি ছাড়া কপি না করার অনুরোধ রইলো।

error: